কিছু দিন হলো ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল হাজিরা চালু হয়েছে। পরিষদের কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের বিশেষ করে গ্রামপুলিশদের দৈনিক হাজিরায় এখন রীতিমত প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিগত দিনে যেখানে সিডিউল ডিউটির দিনও যথাসময়ে থাক দূরের কথা; অনেক আনঅফিশিয়াল ভাষা ব্যবহার করেও সময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়নি। উভয়ের সাথে এনিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নিজ নিজ যুক্তি উপস্থাপনের চেষ্টায় ব্যস্ত থাকতো। হতো নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি। আজ এটা, কাল ওটা, পরশু অন্যটা ইত্যাদি অজুহাত নিত্যদি্নের। স্থানীয় সরকার বিভাগের যাদুর মেশিন (বায়োমেট্রিক হাজিরা ) স্থানপনের পর থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবকিছু যেন অলৌকিকভাবে পরিবর্তন হয়ে গেলো। এখন প্রতিদিনই প্রায় প্রতিযোগিতা লেগে থাকে কার আগে কে ফিঙ্গার দিয়ে হাজিরা দেবে এবং দিন শেষেও তাই। এখানেই শেষ নয়, হাজিরার পর কম্পিউটারে তা রেকর্ড হলো কিনা তাও নিজে নিশ্চিত করে নেয়। এখন প্রায় সারাদিনই কাউকে না কাউকে প্রয়োজনে হাতের নাগালে পাওয়া যায়। জয় হউক ডিজিটাল বাংলাদেশের, জয় হউক বায়োমেট্রিক পদ্ধতির।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস